ভিউ: ১৫২
আমাদের সর্ম্পকে

সুশিক্ষায় শিক্ষিত মানুষ দেশ ও জাতির বড় সম্পদ। জ্ঞান-বিজ্ঞান, আধুনিক প্রযুক্তির শিক্ষার সাথে যে নৈতিক শিক্ষার দক্ষতা অর্জনের জন্য বাংলা, ইংরেজি, গণিত, এবং ইসলামি জ্ঞানে পারদর্শী হওয়ার জন্য কুরআন, হাদিস, আরবি, আকাইদ ও ফিক্হ এর মতো নৈতিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ শেখানো হয়। নতুন প্রজন্মকে শারীরিক ও মানসিক যোগ্যতাসম্পন্ন বুদ্ধিবৃত্তিক, চারিত্রিক, নৈতিক ও আদর্শিক নেতৃত্বের গুণাবলি সম্পন্ন করে গড়ে তুলতে ১৯৮৬সালে প্রতিষ্ঠিত হয় মেঝেরা গাওলা শামসুল উলুম মাদরাসা ও এতিমখানা।

উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য
প্রচলিত ও ইসলামি শিক্ষার সমন্বয়ে মানসম্পন্ন শিক্ষার মাধ্যমে ভবিষ্যত প্রজন্মকে নৈতিক অবক্ষয় থেকে রক্ষা করে সৎ, যোগ্য, ঈমানদার, চরিত্রবান, চৌকস, দেশপ্রেমিক ও আধুনিক যে কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার মতো আদর্শ নাগরিক তৈরির মাধ্যমে দেশ ও জাতির সেবা করে ইহকালীন সমৃদ্ধি ও পরকালীন কল্যাণ লাভ করা আমাদের উদ্দেশ্য এবং এ উদ্দেশ্য হাসিলের
মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ তথা পরকালীন চূড়ান্ত সফলতা অর্জনই আমাদের লক্ষ্য।

মাদ্রাসার বৈশিষ্ট্য:
* এক ঝাঁক তরুণ মেধাবী, উদ্যমী, সমাজ সেবক, কারিকুলাম বিশেষজ্ঞ ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে
ডিগ্রীধারী ব্যক্তিদের দ্বারা পরিচালিত।
* একদল মেধাবী অভিজ্ঞ ও বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার সম্পন্ন শিক্ষকমন্ডলী দ্বারা পাঠদান।
* ২য় শ্রেণিতেই কুরআনের নাজেরা সম্পন্ন করার সু-ব্যবস্থা।
* হিফয প্রত্যাশীদের ৫ম শ্রেণীতেই হিফয সম্পন্ন করার সু-ব্যবস্থা ।
* আরবি ও ইংরেজি ভাষা শিক্ষার জন্য বিশেষ ক্লাসের ব্যবস্থা।
* সরফ (মিজান ও মুনশাঈব), নাহু (মিয়াতে আমিলসহ) শিক্ষার জন্য বিশেষ ক্লাসের ব্যবস্থা।
* হাতের লেখা সুন্দর ও দ্রতকরণে নিয়মিত প্রশিক্ষণ।
* প্রয়োজনীয় মাস‘আলা-মাসায়িল, মাসনুন দু’আ শিখন ও নামাজের বাস্তব প্রশিক্ষণ প্রদান

* নিরাপত্তা নিশ্চিত করণে সিসি ক্যামেরায় সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ।
* শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন মুক্ত ক্যাম্পাস

শ্রেণী কক্ষে পাঠদান ও শিক্ষা কৌশল:
* ক্লাস শুরুর পূর্বে Assembly -তে শারীরিক সুস্থ্যতা, নৈতিক ও চারিত্রিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে গুরুত্বারোপ করা হয়।
* শিশুদের ধারণ ক্ষমতার দিকে লক্ষ্য রেখে পাঠদান করা হয়। অতিরিক্ত বোঝা চাপানো হয় না।
* শিশুদের স্বাভাবিক অনুসন্ধিৎসা ও কৌতূহলের প্রতি লক্ষ্য রেখে তাদের স্বাভাবিক প্রাণশক্তি ও উচ্ছা শক্তি কে ব্যবহার করে আনন্দময় পরিবেশে মমতা ও ভালবাসার সঙ্গে শিক্ষা প্রদান করা হয়।
* শিশুদের সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। সার্বক্ষণিক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন মুক্ত রাখা আমাদের অঙ্গিকার।
* শিশুদের কাছে শিক্ষাকে সহজ ও আকর্ষণীয় করার জন্য বৈধ ছবি, রঙ, শিক্ষা উপকরণ, মডেল, হাতের কাজের সঙ্গে ছড়া, গল্প, ইসলামি গান ও খেলার মাধ্যমে উপস্থাপনের ব্যবস্থা।
* সিলেবাস ও পাঠ পরিকল্পনা অনুযায়ী পাঠদান।
* ক্লাসের শুরুতে পূর্বের দেয়া পাঠ . যথাযথভাবে আদায় করা হয়। ক্লাসের পড়া ও ঐ.ড করতে ব্যর্থ হলে সংশোধনী ক্লাসের ব্যবস্থা।
* একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নৈতিকতা শিক্ষা দেয়া হয়।

হিফজুল কুরআন বিভাগ:
*অভিজ্ঞ ও মানসম্পন্ন হাফিজ কর্তৃক পাঠদান।
* প্রচলিত ও আধুনিক পদ্ধতির অপূর্ব সমন্বয়।
* মেধানুযায়ী ২ থেকে ৪ বছর মেয়াদে হিফজ সম্পন্ন
* অভিজ্ঞ হাফিজ/ক্বারীগণের দ্বারা নিয়মিত মাশকের ব্যবস্থা।
* দৈনিক ডায়েরি সংরক্ষণ এবং বাৎসরিক লিখিত ফলাফল প্রদান।
* অডিও-ভিজ্যুয়াল পদ্ধতিতে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হাফিজ ও ক্বারী সাহেবদের তিলাওয়াত অনুশীলন।
* জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের উপযোগী করে গড়ে তোলা।

নূরাণি ও নাজেরা বিভাগ:
* জেনারেল শ্রেণি কার্যক্রমের পাশাপাশি সহিহ্ কুরআন তিলাওয়াত শিক্ষার নিশ্চয়তা।
* জীবন ঘনিষ্ঠ প্রয়োজনীয় দু’আ ও মাস‘আলা শিক্ষা দান।
* নির্বাচিত সহিহ্ হাদিস অর্থসহ শিক্ষা দান।
* নিয়মিত শিক্ষার্থীদের ১ বছরে ৩ পারা সহিহ্ভাবে নাজেরা কুরআন তিলাওয়াত শিক্ষা দান।
* হিফজ প্রত্যাশী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যাচের ব্যবস্থা
* কৃতিত্বপূর্ণ সাফল্যের জন্য কুরআন শিক্ষার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টির লক্ষ্যে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে আকর্ষণীয় পুরস্কার দেয়া হয়।

সফলতার চিত্র:
প্রতিষ্ঠার পর থেকে মাদরাসা বরাবরই কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে এসেছে। প্রতি বছর গহর ডাঙ্গা বোর্ড পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে বার্ষিক (চূড়ান্ত) পরীক্ষায় অধিকাংশ ১০০ ভাগ পাশ করে থাকে। বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে যে সফলতা বয়ে আনে তা সত্যি ঈর্ষাণীয়।

ভর্তি সংক্রান্ত নিয়মাবলি:
* নির্ধারিত মূল্যে অফিস থেকে ভর্তি ফরম ও প্রসপেক্টাস সংগ্রহ করত উক্ত ফরম পূরণ করে অফিসে জমা দিতে হবে।
* ভর্তি ফরমের সাথে শিক্ষার্থীর ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি, পূর্বের শ্রেণির নম্বরপত্র/প্রত্যয়নপত্র/ছাড়পত্রের মূলকপি ও জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি এবং মা বাবার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি এবং সচল মোবাইল নাম্বার সংযুক্ত করতে হবে।
* প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
* দুই সন্তানের ক্ষেত্রে ১ জনের ভর্তি ফি অর্ধেক এবং ৩ সন্তানের ভর্তির ক্ষেত্রে কণিষ্ঠ জনের ভর্তি ফি ফ্রি। তবে টিউশন ফি এর ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ৩ সন্তানের (কণিষ্ঠ শিক্ষার্থীর) নির্ধারিত টিউশন ফি অর্ধেক ছাড় পাবেন।
* সাধারণত ১ নভেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরবর্তী শিক্ষাবর্ষে ভর্তির আবেদনপত্র গ্রহণোত্তর যথাযথ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ভর্তি করা হয়। তবে আসন খালি থাকা সাপেক্ষে বছরের অন্যান্য সময়ও ভর্তি করানো যাবে।
* প্রথম শ্রেণি থেকে ৩য় শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির জন্য মান যাচাইয়ের জন্য পরীক্ষা ব্যতীত ভর্তি করা হয় না।
* অস্পষ্ট ও অসম্পূর্ণ আবেদনপত্র গ্রহণযোগ্য নয়।
* কর্তৃপক্ষ যে কোন আবেদনপত্র বাতিল করার অধিকার সংরক্ষণ করেন।
* ভর্তির ব্যাপারে কোন অনৈতিক সুপারিশ গ্রহণযোগ্য হবে না।
* ভর্তি সংক্রান্ত সকল ক্ষেত্রে মাদরাসা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।

মাদরাসার নির্ধারিত ইউনিফর্ম:
বালক: নেভি ব্লু রঙের পাঞ্জাবি ও পাজামা (টাকনু গিরার উপর পর্যন্ত), সাদা টুপি,
বালিকা: নেভি ব্লু রঙের ফুরাক ও পাজামা এবং হিজাব

শেষ কথা:
বর্তমান সময়ের আকাশ সংস্কৃতির এবং স্মার্ট ফোনের আসক্ত মরণ ছোবল থেকে ফিরিয়ে রেখে সন্তানকে আদর্শবান, দেশপ্রেমিক ও খাঁটি ঈমানদার হিসেবে গড়ে তুলতে মাদরাসা শিক্ষা অনন্য। দেশ ও জাতি গড়ার এই মহান প্রত্যয়ে আপনারাও আমাদের সহযোগী হবেন এটাই আমাদের প্রত্যাশা। যেহেতু আমাদের উদ্দেশ্য মহান আল্লাহর সন্তষ্টি, দুনিয়ার কল্যাণ ও আখিরাতের মুক্তি তথা জান্নাত লাভ করা আমাদের মুখ্য উদ্দেশ্য। সুতরাং আপনিও পারেন আমাদের উপরোক্ত উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যের সাথে একাত্ম হয়ে আমাদের একজন সম্মানিত অংশীদার হতে। এজন্য কোন অর্থ বিনিয়োগের প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন শুধু নিখাদ বিশ্বাস ও আন্তরিকতার সাথে মেয়েরা গাওলা শামসুল উলুম মাদরাসার জন্য আপনার মূল্যবান পরামর্শ ও সহযোগিতা। মেয়েরা গাওলা শামসুল উলুম মাদরাসার জন্য আপনি যা করবেন তা হলো- আপনি এ মাদরাসাকে যতটা জানেন, যতটা ভালবাসেন, যতটা কল্যাণ ও উন্নতি আপনি কামনা করেন তা আপনার আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, প্রতিবেশী ও পরিচিতজনদের বলবেন এবং মাদরাসার উন্নয়ন ও কল্যাণে সার্বিক পরামর্শ দিবেন, ইনশাআল্লাহ। আপনার এই নিঃস্বার্থ আন্তরিকতা, ভালবাসা ও কল্যাণ কামনা তথা মাদরাসার উন্নয়নে আপনার মূল্যবান পরামর্শ ও সার্বিক সহযোগিতাকে আল্লাহ তায়ালা কবুল করুন। মহান আল্লাহ আমাদের এই সম্মিলিত প্রচেষ্টা কবুল করুন। আমিন